মোঃসাইফুল ইসলাম,কুমিল্লা কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ কর্তৃক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাকাত চক্রের মহিলাসহ ১১জন ডাকাত বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল আটক এবং লুন্ঠিত নগদ টাকা ও মালামাল উদ্ধার। গত ১৯/০১/২০২০খ্রিঃ সন্ধ্যা অনুমান ১৯.৪৫ ঘটিকার সময় ভিকটিম মোঃ শাহীন আলম (৩০), পিতা-মোঃ শাহ আলম, মাতা-মৃত মোসরেফা বেগম, সাং-নাটারাম, পোঃ নাটারাম, থানা-বদরগঞ্জ, জেলা-রংপুর চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ৬নং ঘোলপাশা ইউনিয়নস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাবুর্চি নামক স্থানে গাড়ীর জন্য অপেক্ষমান থাকা অবস্থায় কুমিল্লার দিক থেকে ০৩ জন ডাকাত কুমিল্লা-ল-১১-০২৩৬ রেজিঃ নম্বরের মোটরসাইকেল যোগে এসে ভিকটিম মোঃ শাহীন আলমকে অতর্কিতভাবে আক্রমণ করে। তাদের একজন ভিকটিম শাহীন আলমের গলায় চাকু ধরে, অন্যান্যরা ভিকটিমের মোবাইল সেট ও মানিব্যাগসহ নগদ ৯৭০/- এবং কাঁধে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যাওয়ার সময় ভিকটিম শোরচিৎকার করলে চৌদ্দগ্রাম থানার টহল পুলিশ ধাওয়া করে ডাকাত ১। জহির হোসেন (২৪), পিতা-মৃত জাহাঙ্গীর, ২। মোঃ জহিরুল ইসলাম (২৫), পিতা-শহীদুল ইসলাম, উভয় সাং-দিশাবন্দ, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লাদ্বয়কে ধৃত করেন। ধৃত ডাকাতদ্বয়ের নিকট হতে ০১টি চাকু, লুন্ঠিত ব্যাগ, নগদ টাকাসহ মানিব্যাগ উদ্ধার হয়। অপর সহযোগী ডাকাত পাশর্^বর্তী গ্রামের দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ধৃত ডাকাতদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক সহযোগী ডাকাত ৩। বুলেট (২৮) এর নাম ঠিকানা ও আত্মগোপনের সম্ভাব্য স্থানের তথ্য নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ কয়েকটি টিমে বিভক্ত হয়ে রাত্রি অনুমান ২২.৩০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকায় তল্লাশী অভিযান শুরু করে। এরই মধ্যে পলাতক ডাকাত বুলেট (২৮) মোবাইল ফোনে তার অন্যান্য সহযোগীদের সংবাদ দিলে তারা ঢাকা মেট্রো-চ-১৩-২২১৭ রেজিঃ নম্বরের মাইক্রোবাস (হায়েস) গাড়ী যোগে ১। কামরুল হাসান সবুজ (২৬), পিতা-মৃত আবুল হোসেন, ২। মোঃ ফেরদৌস হোসেন (২৮), পিতা-আব্দুল কুদ্দুস, ৩। মোঃ কামাল হোসেন (৪৫), পিতা-মৃত মহাতব হোসেন, সর্ব সাং-উত্তর রামপুর, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, ৪। ফাহিম আহম্মদ (২২), পিতা-ফারুক আহম্মদ, সাং-সুয়ারখিল, পোঃ মিয়ারবাজার, থানা-চৌদ্দগ্রাম, সর্ব জেলা-কুমিল্লা, ৫। মোঃ সুমন হাসান (২৮), পিতা-মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাং-রামপুর, থানা-হাজীগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর, ৬। নেয়ামত উল্লাহ (২৫), পিতা-আব্দুল ওহাব, সাং-মোস্তাপুর, ৭। মোঃ জুয়েল @ আকাশ (২০), পিতা-জয়নাল আবেদীন, গ্রাম-শ্রীমন্তপুর, ৮। মনোয়ারা বেগম (৪৫), স্বামী-আব্দুল কুদ্দুস, সাং-উত্তর রামপুর, সর্ব থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা গং চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঘোলপাশা ইউনিয়নস্থ বাবুর্চি এলাকার একতা ব্রিক ফিল্ডে গিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে আতংক সৃষ্টি করে আতœগোপনে থাকা ডাকাত বুলেটকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার জন্য খোঁজ করতে থাকে। চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ দল আত্মগোপনে থাকা ডাকাত বুলেটকে ধৃত করার জন্য একই এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালীন রাত অনুমান ২৩.০০ ঘটিকার সময় অর্পিতা ব্রিক ফিল্ডের সামনে ডাকাতদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস (হায়েস) গাড়ীর মুখোমুখী হয়। তাৎক্ষণিক পুলিশের সদস্যরা মাইক্রেবাসটিকে দাড়ানোর সংকেত দেয়া মাত্রই বর্ণিত ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উপরোক্ত ০৮জন ডাকাতকে ধৃত করেন এবং মূল ডাকাত বুলেটকেও ধৃত করতে সক্ষম হন। ধৃত ডাকাতদের হেফাজত হতে ০৫টি রাম দা, ০২টি দেশীয় তৈরী চাইনিজ কুড়াল ও ঘটনায় ব্যবহৃত উপরোক্ত মাইক্রোবাস উদ্ধার পূর্বক জব্দ করেন। আটককৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, দস্যুতা, মাদক ও দ্রুত বিচার আইনসহ একাধিক মামলা রয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিভিন্ন কৌশলে ডাকাতি, ছিনতাই ও দস্যুতা করে মর্মে জানায়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *