
বিশেষ প্রতিনিধিঃ আসন্ন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকার মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। দীর্ঘদিন কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্রে জনপ্রিয়তা পূর্বক সচ্ছতার সাথে রাজনীতি করে আসছে। তারই পুরষ্কার হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থা অর্জনের মাধ্যমে নৌকার মাঝি মনোনীত হন। অনেকেই নৌকার প্রত্যাশায় ব্যর্থ হয়। কিন্তু তার এই ঐশ্বর্যপূর্ণ সাফল্য দেখে একশ্রেণীর অসাধু চক্র উঠেপড়ে লেগেছে বলে মনে করেন কুমিল্লার সচেতন মহল।
মাদকের গডফাদার শিরোনামে উল্লেখ্য- (রিফাতের ঘনিষ্ঠ সূত্র ও আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন, মাদক চোরাকারবার থেকে কমিশন পাওয়ার কারণে তিনি স্থানীয় মাদক চোরাকারবারি ও অপরাধীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন।) যার কোন প্রমাণ নেই, শুধু কাল্পনিক চিন্তা থেকেই এমন মন্তব্য করেন। আমাদের অনুসন্ধানে জনা যায়- ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে ছিলেন আওয়ামী পরিবারের একনিষ্ঠ সমর্থক। পালন করছেন বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ একাধিক দ্বায়িত্ব, সফলও হয়েছেন। ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ডের দিকে তাকালে দেখা যায় সবাই উচ্চ শিক্ষিত ও সৌহার্দপূর্ণ মার্জিত। ওনার স্ত্রী ফারহানা হক কুমিল্লা মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষিকা। বড় মেয়ে তাসফিয়া রিফাত আইএফআইসি ব্যাংকের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, ছোট মেয়ে তানিয়া রিফাত সরোয়ার্দী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস করে বর্তমানে ল্যাবএইড-এ কর্মরত রয়েছেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ১ম বর্ষে পড়ালেখা করছে। এবিষয়ে আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম (টিটু)র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আশির দশকের মৃত্যুজয়ী মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা আরফানুল হক রিফাত একদিনে সৃষ্টি হয়নি।
স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ওনার হাতপায়ের রগ কেঁটে দেয়। বাহার ভাই ওনাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আনে। এরপর থেকেই কুমিল্লার গণমানুষের কাছে রিফাত ভাই মৃত্যুঞ্জয়ী নেতা। কুমিল্লা টাউনহল মাঠে খন্দকার মোশতাকের জনসভা পণ্ড করা এই আমাদের রিফাত ভাই।আমরা এই মিথ্যে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাই।
এবিষয়ে কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ শহিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- এটা গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়। আমার রিফাত ভাইসহ প্রত্যেকটি পাড়া-মহল্লাসহ ওয়ার্ডে কর্মসূচী করেছি, মাদক জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে কাজ করেছি। সম্পূর্ণ নির্মূল করতে না পারলেও আশানুরূপ সাফল্য পেয়েছি। কোথাকার ৪বছর আগের মিথ্যাকে আবারো জাগ্রত করাটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছাড়া আর কিছুই নয়। এবিষয়ে কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল আজিজ সিহানুক বলেন- রিফাত মানেই অজস্র সংগ্রামের প্রতীক! মাদকের গডফাদার নয়, ছিলেন মাদকের বিরুদ্ধে আতঙ্ক! এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমরা এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাই।
এবিষয়ে আরফানুল হক রিফাতের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- ২০১৮ সালে মাদকের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স তখন সারা দেশ থেকে অসংখ্য নামও গেছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় অনেক ফ্যাক নামও অন্তভূক্ত হয়েছে। যদি এই অভিযোগটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে গিয়েই থাকে, তাহলে ডিজিএফআই, এনএসআইসহ বিভিন্ন স্পেশাল ফোর্স যাদের বিরুদ্ধে তথ্যের সত্যতা পেয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে একশনেও গিয়েছে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি, কোন কারণও দর্শায়নি এবং একশনেও যায়নি। ২০১৮ সালের তথ্য ২০২২ সালে এসে হালনাগাদ হয়েছে কি না অথবা আমার নাম আছে কি না, তাও জানা নেই। আমি যদি অপরাধী হতাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকার দ্বায়িত্ব দিতো না। এসকল সংবাদ মিথ্যে বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমার জনপ্রিয়তা ও নৌকার জয়ের পূর্বাভাস দেখে উঠেপড়ে লেগেছে। কিভাবে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করা যায়, তার জন্য এসকল মিথ্যে তথ্য প্রচার করছে। আমি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ১০কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছি।