ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফের ডিজি পর্যায়ের চার দিনব্যাপী বৈঠকে যোগদানের জন্য ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল পিলখানা বিজিবি সদর দপ্তরে এসে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তারা। খবর বাসস।
বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ প্রধানের মধ্যে গতকাল শুরু হতে যাওয়া চার দিনব্যাপী বৈঠকে সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। এছাড়া অস্ত্র ও মাদক পাচার বন্ধের বিষয়টিও প্রাধান্য পাবে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একজন কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সীমান্ত হত্যা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বৈঠকে অবৈধ অস্ত্র, মাদক এবং মানব পাচার বন্ধের ব্যাপারেও আলোচনা হবে। উভয় দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা আরো উন্নয়নের জন্য বৈঠকে আলোচনা হবে।
বিজিবির অপারেশন ডিরেক্টর লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, সীমান্তে হত্যার যেকোনো ঘটনার পর আমরা সর্বস্তরে আলোচনা শুরু করি এবং এর পরে বাংলাদেশ বরাবরই সীমান্তে সহিংসতায় বেশি গুরুত্ব দেয়। এখানে উভয় পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থের পাশাপাশি দুই সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আরো উন্নয়নের উপায় নিয়ে আলোচনা করবে।
নয়াদিল্লি থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিএসএফের পক্ষ হতে আলোচনায় গবাদি পশু পাচার, মুদ্রা ও মানব পাচার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
চার দিনব্যাপী সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক আজ বেলা ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে পিলখানা বিজিবি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে বলে বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
১৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশ নেবেন।